এবার বিরল এক ঘটনা ধ’রা পড়ল নাসার টেলিস্কোপে! বামদিকের ছবিটি ২০ এপ্রিলের। এটিতে ধূমকেতুর ক’ঠিন বরফের ৩০টি টুকরো দেখানো হয়েছে। আর ডানদিকের ছবিতে আরো ২৫টি টুকরো দেখানো হয়েছে। এই ছবিটি তুলা ২৩ এপ্রিলের।
নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে ধ’রা পড়েছে বিরল এক ধূমকেতুর বিশেষ কিছু ছবি। ক্যামেরায় ধ’রা পড়েছে ধূমকেতুর আন্তঃবিশেষীয় প্রক্রিয়া। ‘সি/২০১৯ ওয়াই ফোর’ এই ধূমকেতুর দিকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো নজর রেখেছিল নাসা। আর তাতেই মিলছে কিছু বিরল ছবির।






ইন্সটাগ্রামে নাসা হাবেল একটি ভি’ডিও প্রকাশ করেছে। ভি’ডিওটি তোলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে। নাসা জানাচ্ছে, ভি’ডিওটির মাধ্যমে ধূমকেতুর ক’ঠিন বরফের নিউক্লিয়াসের প্রায় ৩০ টি টুকরো দেখানো হয়েছে।
নাসার ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, সি/২০১৯ ওয়াই ফোর ধূমকেতুটি এটিলস নামেও পরিচিত। ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে এটিকে প্রথম খুঁ’জে পাওয়া গিয়েছিল। জ্যোতির্বিদ জোসে ডি কুইরোজ ১১ এপ্রিল ধূমকেতুটির প্রায় তিন টুকরো ছবি তুলতে সক্ষম হন।






নাসার ওয়েবসাইট অনুসারে, হাবল যখন এই ধুমকেতুটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিল তখন ধূমকেতুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৪৬ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ছিল।
ধূমকেতুটি অভ্যন্তরীণ সৌরজগতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে। আশা করা যায়, মে মাসে এটি খালি চোখেও দৃশ্যমান হবে।






মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানাচ্ছে, আট দিন পরে ধূমকেতুটিও ৪ মিলিয়ন কিলোমিটারে সূর্যের পাশ দিয়ে স্কার্ট করবে।
সাধারণত, খালি চোখে ধূমকেতু সবসময় দেখা যায় না, তাই এধরনের ঘটনাগুলো ‘সত্যই উত্তেজনাপূর্ণ’ কারণ এই ধরনের ঘটনাগুলো দেখার ‘দুর্দান্ত সুযোগ’ সবসময় হয় না। সূত্র: ডেইলি মেইল।